Tuesday, 4 March 2025

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা স্থগিতে বিপদে ইউক্রেন

  যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা স্থগিতে বিপদে ইউক্রেন

ইউক্রেনের পথে থাকা মার্কিন অস্ত্র ফেরত আনা হবে।


যুক্তরাষ্ট্র সরে গেলে ইউক্রেনকে রক্ষায় দ্বিগুণ অর্থসহায়তা দিতে হবে ইউরোপকে।


ইউরোপের প্রতিরক্ষায় ৮০০ বিলিয়ন পাউন্ডের তহবিল গঠনের পরিকল্পনা।


 

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা স্থগিতে বিপদে ইউক্রেন

ইউক্রেনের পথে থাকা মার্কিন অস্ত্র ফেরত আনা হবে।


যুক্তরাষ্ট্র সরে গেলে ইউক্রেনকে রক্ষায় দ্বিগুণ অর্থসহায়তা দিতে হবে ইউরোপকে।


ইউরোপের প্রতিরক্ষায় ৮০০ বিলিয়ন পাউন্ডের তহবিল গঠনের পরিকল্পন

যুক্তরাষ্ট্রের প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনায় ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রশিক্ষণ দেখছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। জার্মানির একটি অজ্ঞাত স্থানে; ১১ জুন ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনায় ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রশিক্ষণ দেখছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। জার্মানির একটি অজ্ঞাত স্থানে; ১১ জুন ২০২৪ছবি: রয়টার্স

হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বিতণ্ডার পর ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের সামরিক সহায়তা স্থগিত হতে পারে—এমন আশঙ্কা ছিল। অবশেষে তা সত্যি হলো। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইউক্রেনে আপাতত কোনো সামরিক সহায়তা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। একই সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে রাশিয়ার ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞা শিথিলের পরিকল্পনা করছে তারা।

 

যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তের পর গতকাল মঙ্গলবার জেলেনস্কি এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ইউক্রেনে টেকসই শান্তির লক্ষ্যে তিনি ট্রাম্পের শক্তিশালী নেতৃত্বে কাজ করতে চান। ওয়াশিংটনের সঙ্গে খনিজ চুক্তি করতেও প্রস্তুত আছেন।


তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধে এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৬৫ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা পেয়েছে ইউক্রেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই সহায়তা দিয়েছিলেন। গত ডিসেম্বরে ক্ষমতা ছাড়ার আগে কিয়েভের জন্য আরও ৫ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র, সামরিক যান ও অন্যান্য সরঞ্জাম অনুমোদন দেন বাইডেন।

যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন মূলত সেই অস্ত্র ও সরঞ্জামগুলোর চালান স্থগিত করেছে। প্রশাসনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে বলেছেন, অস্ত্রগুলোর চালান পুরোপুরি বন্ধ করা হয়নি, সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।


আর ব্লুমবার্গের খবরে বলা হয়েছে, পুরোনো চালানের যেসব অস্ত্র ইউক্রেনে যাচ্ছিল, তার সবই যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনা হবে। যেসব অস্ত্র এরই মধ্যে সরবরাহের জন্য উড়োজাহাজে তোলা হয়েছে এবং পোল্যান্ডের ট্রানজিট এলাকায় জাহাজে মজুত রয়েছে, সেগুলোও ফেরত আনা হবে।


অস্ত্রের এই চালান স্থগিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথকে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। ওই নির্দেশের পর হেগসেথের সঙ্গে আলোচনায় বসেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ড ও ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ। এরপর ইউক্রেনে অস্ত্রসহায়তা স্থগিত করার পাকা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।


এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউসে বৈঠক করেন ট্রাম্প ও জেলেনস্কি। আলোচনার এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। এরপর জেলেনস্কি ও তাঁর দলকে ওভাল অফিস ছেড়ে যেতে বলেন মার্কিন কর্মকর্তারা। সেদিন দুই দেশের মধ্যে খনিজ সম্পদবিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা থাকলেও তা শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি।

ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করতে চান জেলেনস্কি

ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে জেলেনস্কি গতকাল এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ইউক্রেনে টেকসই শান্তির জন্য তিনি ও তাঁর দল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শক্তিশালী নেতৃত্বের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর বৈঠক যেভাবে এগোনোর কথা, সেভাবে এগোয়নি। এটা ঠিক করার এখনই সময়।


জেলেনস্কি আরও লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে চুক্তি করতে প্রস্তুত কিয়েভ। যেকোনো সময় ও যেকোনো উপযুক্ত কাঠামোয় সেই চুক্তি করতে রাজি ইউক্রেন।

ফলো করুন

যুক্তরাষ্ট্রের প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনায় ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রশিক্ষণ দেখছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। জার্মানির একটি অজ্ঞাত স্থানে; ১১ জুন ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনায় ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রশিক্ষণ দেখছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। জার্মানির একটি অজ্ঞাত স্থানে; ১১ জুন ২০২৪ছবি: রয়টার্স

হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বিতণ্ডার পর ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের সামরিক সহায়তা স্থগিত হতে পারে—এমন আশঙ্কা ছিল। অবশেষে তা সত্যি হলো। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইউক্রেনে আপাতত কোনো সামরিক সহায়তা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। একই সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে রাশিয়ার ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞা শিথিলের পরিকল্পনা করছে তারা।


যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তের পর গতকাল মঙ্গলবার জেলেনস্কি এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ইউক্রেনে টেকসই শান্তির লক্ষ্যে তিনি ট্রাম্পের শক্তিশালী নেতৃত্বে কাজ করতে চান। ওয়াশিংটনের সঙ্গে খনিজ চুক্তি করতেও প্রস্তুত আছেন।


তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধে এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৬৫ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা পেয়েছে ইউক্রেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই সহায়তা দিয়েছিলেন। গত ডিসেম্বরে ক্ষমতা ছাড়ার আগে কিয়েভের জন্য আরও ৫ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র, সামরিক যান ও অন্যান্য সরঞ্জাম অনুমোদন দেন বাইডেন।


যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন মূলত সেই অস্ত্র ও সরঞ্জামগুলোর চালান স্থগিত করেছে। প্রশাসনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে বলেছেন, অস্ত্রগুলোর চালান পুরোপুরি বন্ধ করা হয়নি, সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।


আর ব্লুমবার্গের খবরে বলা হয়েছে, পুরোনো চালানের যেসব অস্ত্র ইউক্রেনে যাচ্ছিল, তার সবই যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনা হবে। যেসব অস্ত্র এরই মধ্যে সরবরাহের জন্য উড়োজাহাজে তোলা হয়েছে এবং পোল্যান্ডের ট্রানজিট এলাকায় জাহাজে মজুত রয়েছে, সেগুলোও ফেরত আনা হবে।


অস্ত্রের এই চালান স্থগিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথকে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। ওই নির্দেশের পর হেগসেথের সঙ্গে আলোচনায় বসেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ড ও ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ। এরপর ইউক্রেনে অস্ত্রসহায়তা স্থগিত করার পাকা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।


এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউসে বৈঠক করেন ট্রাম্প ও জেলেনস্কি। আলোচনার এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। এরপর জেলেনস্কি ও তাঁর দলকে ওভাল অফিস ছেড়ে যেতে বলেন মার্কিন কর্মকর্তারা। সেদিন দুই দেশের মধ্যে খনিজ সম্পদবিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা থাকলেও তা শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি।




কোহলির আরও একটি ‘মাস্টারক্লাস’, ফাইনালে ভারত

 চ্যাম্পিয়নস ট্রফি

কোহলির আরও একটি ‘মাস্টারক্লাস’, ফাইনালে ভারত

 

নাহ্, পাকিস্তানের ক্রিকেটপ্রেমীদের আশা পূরণ হলো না। দুবাইয়ে সেমিফাইনালে ভারত হারলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনাল ফিরবে পাকিস্তানের মাটিতে—এ–ই ছিল তাঁদের চাওয়া। কিন্তু রান তাড়া করতে নেমে বিরাট কোহলি ক্রিজে জমে গেলে আসলে কারও চাওয়াই পূর্ণ হয় না, শুধু কোহলিরটা ছাড়া!

 

অস্ট্রেলিয়ার ২৬৪ রান তাড়া করতে নেমে ভারত যে বিপদে পড়েনি, তা নয়। ৭.৫ ওভারে ৪৩ রানের মধ্যে ফিরে যান দুই ওপেনার শুবমান গিল ও রোহিত শর্মা। তিনে নামা কোহলি এরপর দাবার চালের মতো অস্ট্রেলিয়ার রানটা এমনভাবে তাড়া করার পথ বের করলেন যে ম্যাচটা ভারত ১১ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে জিতে গেল। রান তাড়ায় ৯৮ বলে ৮৪ রানের আরেকটি ‘মাস্টারক্লাস’ ইনিংস খেলে কোহলি আগামী রোববার দুবাইয়ে ভারতের ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করার মূল নায়ক। যেখানে ভারতের প্রতিপক্ষ আজ নিউজিল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় সেমিফাইনালের বিজয়ী দল। লাহোরে এই সেমিফাইনালই হবে এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে পাকিস্তানে শেষ ম্যাচ।

 

ভারতকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পঞ্চম ফাইনালে তোলার পথে রান তাড়ায় ৮ হাজার রানের মাইলফলক পেরোনো কোহলির ইনিংসটি অনেককে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল তাঁর সেরা সময়ে। পঞ্চম ওভারে ৩০ রানে অস্ট্রেলিয়ার পেসার বেন ডরশুইসের বলে গিলকে হারায় ভারত। কোহলি নামার ১৬ বল পর রোহিতও ফেরেন স্পিনার কুপার কনোলির বলে এলবিডব্লু হয়ে। পয়েন্টে ‘জীবন’ পাওয়া রোহিত আগেই ফিরেছেন ২৮ রানে।

 

উইকেট শুকনো ও স্পিনবান্ধব হওয়ায় অস্ট্রেলিয়া ভেবেছিল, আগেভাগে স্পিনার এনে দ্রুত উইকেট তুলে চাপে ফেলা যাবে ভারতকে। সে পথে অস্ট্রেলিয়া প্রথম দফায় সফল হলেও পরে আর পারেনি। কারণ, কোহলি ব্যাটকে ছুরি বানিয়ে ফিল্ডিংয়ের ফাঁকফোকর দিয়ে যেমন রান বের করেছেন, তেমনি বাকিরাও তাঁকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন।

তৃতীয় উইকেটে শ্রেয়াস আইয়ারের সঙ্গে ৯১, চতুর্থ উইকেটে অক্ষর প্যাটেলের সঙ্গে ৪৪ ও পঞ্চম উইকেটে লোকেশ রাহুলের সঙ্গে ৪৭ রানের জুটিতে ভারতকে জয় থেকে পথচ্যুত হতে দেননি কোহলি। অস্ট্রেলিয়া উল্টো হতাশ হয়ে বিশেষজ্ঞ বোলারদের পাশাপাশি গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও ট্রাভিস হেডের মতো ‘পার্টটাইমার’ বোলিংয়ে এনেও সময়মতো জুটি ভাঙতে পারেনি। আইয়ার ৪৫ ও অক্ষর ২৭ রানে আউট হলেও ভারত জয়ের পথ পরিষ্কার করেছে মূলত কোহলি ও রাহুলের জুটি। হাতে ৬ উইকেট রেখে ভারত যখন ৪৫ বলে ৪০ রানের দূরত্বে, অস্ট্রেলিয়ানদের শরীরী ভাষায় হাল ছেড়ে দেওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল।
সেই সময়ই আঘাত হানেন অস্ট্রেলিয়ার লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা। তাঁর গুগলি উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় কোহলির ইনিংসটি। ষষ্ঠ উইকেটে হার্দিক পান্ডিয়া (২৮) এসে রাহুলের সঙ্গে ৩৪ রানের জুটি গড়ে আউট হন। এরপর রবীন্দ্র জাদেজাকে নিয়ে ভারতকে জয়ের বন্দরে নোঙর করান ৪২ রানে অপরাজিত থাকা রাহুল।

অস্ট্রেলিয়া টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারতের মতোই শুরুতে বিপদে পড়েছিল। ৮.২ ওভারে দলীয় ৫৪ রানের মধ্যে ফিরে যান দুই ওপেনার কনোলি ও হেড। শূন্য রানে কনোলিকে ফেরান শামি। ভারতের ‘মাথাব্যথা’ হেড ৩৯ রানে আউট হলেও স্মিথের সঙ্গে ৫০ রানের জুটি গড়েন। অস্ট্রেলিয়া তারপর এগিয়েছে স্মিথ ও অ্যালেক্স ক্যারির ব্যাটে। তৃতীয় উইকেটে মারনাস লাবুশেনের সঙ্গে ৫৬, চতুর্থ উইকেটে জশ ইংলিসের সঙ্গে ৩৪ ও পঞ্চম উইকেটে ক্যারির সঙ্গে ৫৪ রানের জুটি গড়েন। ৩৭তম ওভারে ব্যক্তিগত ৭৩ রানে শামির ফুল টস বলে বোল্ড হন স্মিথ। ওই ওভার শেষে স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ১৯৯। অর্থাৎ তিন শ পেরোনার সুযোগ তখনো ছিল। কিন্তু পরের ওভারেই গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে (৫ বলে ৭) অক্ষর প্যাটেল বোল্ড করার পর শুরু হয় ক্যারির লড়াই। দ্রুত রান তোলার পাশাপাশি পুরো ৫০ ওভার খেলার চ্যালেঞ্জ নিতে হয় অস্ট্রেলিয়ার এই ব্যাটসম্যানকে। কিন্তু ক্যারি তা পারেননি।
৪৭.১ ওভারে ৫৭ বলে ক্যারির ৬১ রানের ইনিংসটি শেষ হয় শ্রেয়াস আইয়ারের সরাসরি থ্রোয়ে রানআউট হয়ে। ৪০ ওভার শেষে পরবর্তী ৫৭ বলে ৪ উইকেট হারিয়ে ৫১ রান তুলতে পেরেছে অস্ট্রেলিয়া। ৩ উইকেট নেন শামি। ২টি করে উইকেট বরুণ ও জাদেজার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

অস্ট্রেলিয়া: ৪৯.৩ ওভারে ২৬৪ (স্মিথ ৭৩, ক্যারি ৬১, হেড ৩৯, লাবুশেন ২৯; শামি ৩/৪৮, জাদেজা ২/৪০, বরুণ ২/৪৯, পান্ডিয়া ১/৪০, অক্ষর ১/৪৩)।

ভারত: ৪৮.১ ওভারে ২৬৭/৬ (কোহলি ৮৪, আইয়ার ৪৫, রাহুল ৪২*, রোহিত ২৮, অক্ষর ২৭; জাম্পা ২/৬০, কনোলি ১/৩৭, ডরশুইস ১/৩৯, এলিস ২/৪৯)।

ফল: ভারত ৪ উইকেটে জয়ী।

ম্যাচসেরা: বিরাট কোহলি


ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের কক্ষে তুমুল বাগ্‌বিতণ্ডা, হট্টগোল

 

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের কক্ষে তুমুল বাগ্‌বিতণ্ডা, হট্টগোল


কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কক্ষে প্রশাসনের বিভিন্ন পদে দায়িত্বরত শিক্ষক–কর্মকর্তা, ছাত্রদলের নেতা–কর্মী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তুমুল বাগ্‌বিতণ্ডা ও হট্টগোল হয়েছে। রেজিস্ট্রার পদসহ কয়েকটি পদে নতুন নিয়োগ দেওয়া নিয়ে আজ মঙ্গলবার বেলা একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে এই হট্টোগোলের কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকেরা উপাচার্যের কক্ষে প্রবেশ করতে গেলে তাঁদের বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।


বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানা গেছে, সহ–উপাচার্য এয়াকুব আলী ও ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহেদ আহম্মেদের নেতৃত্বাধীন একটি পক্ষ বিএনপিপন্থী এক কর্মকর্তাকে রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ দিতে তৎপরতা চালাচ্ছেন। অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রশাসনের মাধ্যমে নিয়োগের দাবি জানিয়েছে। এ নিয়েই মূলত হট্টগোলের সৃষ্টি হয়েছে।

কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপাচার্যের সভাকক্ষে প্রকৌশলী এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালকের (পিডি) সঙ্গে সভা করছিলেন উপাচার্য নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। সভা চলাকালে ‘প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক পদ থেকে ফ্যাসিস্টের দোসরদের অপসারণের দাবিতে’ কার্যালয়ের সামনে বিএনপিপন্থী কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শাখা ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা গিয়ে হট্টগোল শুরু করেন। পরে বেলা পৌনে একটার দিকে সহ–উপাচার্য এয়াকুব আলী কার্যালয় থেকে নিচে নেমে আসেন। কিছুক্ষণ পর তিনিসহ জিয়া পরিষদের সভাপতি ফারুকুজ্জামান খান ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহেদ আহম্মেদ ও সদস্যসচিব মাসুদ রুমির নেতৃত্বে ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা উপাচার্যের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ দেওয়া নিয়ে তাঁদের মধ্যে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়।

 

এ সময় সাংবাদিকেরা সেখানে প্রবেশ করলে ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহেদ আহম্মেদসহ অন্য কর্মীরা তাঁদের বের করে দেন। একপর্যায়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে সহ–উপাচার্য ও প্রক্টরিয়াল বডির মধ্যে কথা–কাটাকাটি শুরু হয়। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা করলে ছাত্রদলের কর্মীরা তাঁদের বাধা দেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে তাঁদের উপেক্ষা করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মুখলেসুর রহমান ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহেদ আহম্মেদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।

 

প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক শিক্ষার্থী জানান, হট্টগোলের একপর্যায়ে সহ–উপাচার্য এয়াকুব আলী প্রক্টর শাহিনুজ্জামানকে ‘জামায়াত’ বলে আখ্যা দিলে দুজনের মধ্যে উচ্চবাচ্য সৃষ্টি হয়। সেখানে তুমুল হট্টগোল হয়। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওতে দেখা যায়, উপাচার্য, সহ–উপাচার্য ও প্রক্টর উচ্চ স্বরে কথা বলছেন। তাঁদের নিবৃত করার চেষ্টা করছেন কয়েকজন শিক্ষক। ‘চোপ (চুপ), চোপ’ বলে একে অন্যকে জোরে বলতে দেখা যায়। কাউকে একাধিকবার ‘বেয়াদব’ বলতেও শোনা যায়।


Sunday, 2 March 2025

গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই সেমিফাইনালে ভারত, প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া

 

গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই সেমিফাইনালে ভারত, প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া


মাঠে মুখোমুখি ভারত ও নিউজিল্যান্ড। সেই ম্যাচ ‘দেখতে’ কিনা পাকিস্তান থেকে দুবাইয়ে হাজির অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা দল!

দুবাইয়ে না গিয়ে অবশ্য উপায় ছিল না অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার। কাল বাদে পরশু দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম সেমিফাইনাল। সেই ম্যাচে খেলার জন্য একটু আগেভাগেই তো উপস্থিত থাকা উচিত। তবে সেই সেমিফাইনালটা কিন্তু অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে হবে না। হবে ভারতের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকা—যেকোনো একটি দলের। ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচটাই তো নির্ধারণ করবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া, না ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সেমিফাইনাল সেটি।

শেষ পর্যন্ত  নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল খেলতে আবার পাকিস্তানের ফ্লাইট ধরতে হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৪৪ রানে হারিয়ে ভারত যে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। যার অর্থ ৪ মার্চ দুবাইয়ে প্রথম সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলবে রোহিত শর্মার দল।

 

আবারও টসে হেরে ব্যাটিং পাওয়া ভারত করেছিল ৯ উইকেটে ২৪৯ রান। রান তাড়ায় ৪৫.৩ ওভারে নিউজিল্যান্ড অলআউট ২০৫ রানে। ভারতীয় স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী নিয়েছেন ৫ উইকেট। রান তাড়ায় নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন করেছেন সর্বোচ্চ ৮১ রান।


ভারতের শুরুটা ভালো ছিল না। ৭ ওভারের মধ্যেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ফেলে দলটি। সপ্তম ওভারে বিরাট কোহলি যখন গ্লেন ফিলিপসের অবিশ্বাস্য এক ক্যাচ হয়ে ফিরলেন, ভারতের স্কোর ৩ উইকেটে ৩০।

 

ইতিহাসের ২২তম খেলোয়াড় হিসেবে ৩০০তম ওয়ানডে খেলতে নামা কোহলি ম্যাট হেনরির করা বলটিতে স্লাশ করে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে সীমানাছাড়া করতে গিয়েছিলেন। অন্য কোনো ফিল্ডার হলে নিশ্চিত চারই হতো। কিন্তু ফিলিপস যে ‘সুপারম্যান’। দুর্দান্ত সব ক্যাচ নেওয়া যাঁর অভ্যাস, সেই ফিলিপস পুরো শরীরটাকে ডানে ভাসিয়ে ডান হাতটা বাড়িয়ে মুঠোবন্দী করে ফেললেন বলটিকে। ১৪ বলে ১১ রান করা কোহলির যেন বিশ্বাসই হচ্ছিল না! পরে রবীন্দ্র জাদেজাকে ফেরাতে একই জায়গায় প্রায় একইভাবে আরেকটি দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়েছেন কেইন উইলিয়ামসন।

 

কোহলিকে ফেরানোর আগেই শুবমান গিলকে এলবিডব্লু করে নিউজিল্যান্ডকে প্রথম উইকেট এনে দেন হেনরি। ১৫ রানে প্রথম উইকেট হারানো ভারত ২২ রানে হারিয়ে ফেলে অধিনায়ক রোহিত শর্মাকেও। এরপর সপ্তম ওভারে গেলেন কোহলি। ২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের পর ওয়ানডেতে আজই সবচেয়ে কম ওভারের মধ্যে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারাল ভারত। ২০১৯ বিশ্বকাপের সেই ম্যাচে ৩.১ ওভারে মধ্যে ভারতের প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে ফেরানো দলটির নামও ছিল নিউজিল্যান্ড। সেই ম্যাচটি জিতে ফাইনালে উঠেছিল কিউইরা।

 

এমন বাজে অবস্থা থেকে ভারত যে শেষ পর্যন্ত আড়াই শ ছুঁই ছুঁই স্কোর গড়ল, তাতে বড় অবদান শ্রেয়াস আইয়ার, অক্ষর প্যাটেল ও হার্দিক পান্ডিয়ার। চারে নামা আইয়ার অক্ষরকে নিয়ে প্রথমে শুরু করেন ইনিংস মেরামতের কাজ। চতুর্থ উইকেটে ২২.৪ ওভারে ৯৮ রানের জুটি গড়েন দুজন। ৬১ বলে ৪২ রান করে অক্ষরের বিদায়ের পর লোকেশ রাহুলকে নিয়ে ৪৪ রানের জুটি গড়েন। আইয়ার ফেরেন ৩৭তম ওভারে দলকে ১৭২ রানে রেখে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে। ৯৮ বলে ৭৯ রান করা আইয়ার টানা দ্বিতীয় ফিফটি পেলেন।

 

ভারতের ইনিংসের পরের গল্পটা পান্ডিয়ার। আইয়ারের মতোই ৪ চার ও ২ ছক্কায় সাজানো ইনিংসে ৪৫ বলে ৪৫ রান করেছেন এই অলরাউন্ডার। পান্ডিয়াকে ফিরিয়ে চতুর্থ উইকেট পাওয়া কিউই পেসার হেনরি পরে মোহাম্মদ শামির উইকেট নিয়ে ভারতকে একটি ‘প্রথম’ উপহার দিয়েছেন। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ২৭ বছরের ইতিহাসে ভারতের বিপক্ষে এই প্রথম কোনো বোলার ৫ উইকেট পেলেন।





যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা স্থগিতে বিপদে ইউক্রেন

  যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা স্থগিতে বিপদে ইউক্রেন ইউক্রেনের পথে থাকা মার্কিন অস্ত্র ফেরত আনা হবে। যুক্তরাষ্ট্র সরে গেলে ইউক্রেনকে রক্ষা...